কোন জাতের হাঁস পালন লাভজনক
কোন জাতের হাঁস পালন লাভজনক আপনারা জানেন যে হাঁস পালনে অনেক সুবিধা ও লাভজনক
একটি ব্যবসা।তবে বাংলাদেশে আবহাওয়া ভালো থাকায় গ্রাম এলাকায় হাঁস পালন করা অনেক
উপযোগী।তবে আমরা হয়তো জানি না যে হাঁস পালন পদ্ধতি pdf কিভাবে করতে হয় এবং সেই
সকল সমস্যা গুলো ও পদ্ধতি গুলো একটা একটা তুলে ধরবো আপনাদের কাছে।তাছাড়া হাঁস
পালনে কেমন লাভ রয়েছে আর কেমন সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছে সকল বিষয় গুলো আমরা তুলে
ধরেছি।আর এই সকল তথ্য গুলো জানতে অবশ্যই নিচের আর্টিকেলগুলো মনোযোগ সহকারে পড়তে
থাকুন।
আপনাদের মাঝে আরও নতুন কিছু তথ্য বাকি রয়েছে তা আমরা নিচে আলোচনা করেছি।আর এই
নতুন তথ্য গুলোর মধ্যে হাঁস পালনে উপকার কেমন রয়েছে এবং আমাদের কেমন লাভজনক হতে
পারে তা হয়তো তেমন জানা নেই।চলুন আমরা এই হাঁস পালন পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত
ভালোভাবে জেনে নেই যে এর সঠিক বিষয় গুলো কি কি রয়েছে এবং কতটা হাঁস পালনে লাভজনক
হওয়া সম্ভব কি না।এই সকল বিষয় গুলো জানতে নিচে তথ্য গুলো পড়তে থাকুন।
পেজ সূচিপত্রঃ কোন জাতের হাঁস পালন লাভজনক
ভূমিকা
কিভাবে সঠিক পদ্ধতিতে হাঁস পালন করা যেতে পারে এবং পালন করার জন্য উপযোগী সময় কখন
তা আমরা অনেকেই জানিনা।আর এই হাঁস পালনে কতটা লাভবান হওয়া যায় তা আমরা কখনো ভাবি
না।তবে এই হাঁস পালন করা পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য অবশ্যই তথ্য গুলো
জানতে হবে।এর খরচ কেমন জায়গা কতটুকু দরকার কি জাতের হাঁস পালন করলে বেশি লাভজনক
হওয়া যায়।আর হাঁস পালনে কতটা আমাদের উপকার হতে পারে তা জানতে হলে নিচের তথ্য গুলো
মন দিয়ে পড়ুন।
হাঁস পালন পদ্ধতি pdf
হাঁস পালন পদ্ধতি pdf বর্তমানে
আমাদের গ্রাম অঞ্চলে এলাকায় হাঁস পালন জনপ্রিয়তা খুবই বৃদ্ধি পাচ্ছে।যারা নতুন
উপায়ে হাঁস পালন পদ্ধতি করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য যে এই বিষয়ে সঠিকভাবে উল্লেখ
করা হলো।আমাদের গ্রাম অঞ্চলে হাঁস পালন পদ্ধতি খুবই জনপ্রিয়তা লাভজনক পাচ্ছে।তবে
আমাদের গ্রামাঞ্চলে ও দেশের আবহাওয়া ভালো থাকার কারণে হাঁস পালনে অনেক উপযোগী।
কোন জাতের হাঁস পালন লাভজনক কোন জাতের হাঁস পালন লাভজনকআমাদের দেশে হাঁস পালনে কি
রকম লাভজনক রয়েছে তা আমরা সকলেই জানি।আমরা জানি যে হাঁস পালনে অনেক লাভ রয়েছে
এবং হাঁসের ডিম পরিবারে খাদ্য পুষ্টি যোগান দিতে সহায়তা করে।এবং আমাদের শরীরের
জন্য হাঁসের ডিম খুবই উপকারী,আর অন্য মাংসের তুলনায় হাঁসের মাংস খুবই সুস্বাদু
এবং আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী ভিটামিন।
তবে আমাদের বাংলাদেশে আবহাওয়া অনুযায়ী হাঁস পালন করা খুবই উপযোগী।আমাদের দেশে
আবহাওয়া ভালো থাকায় হাঁস পালন অনেক সময় ধরে সম্ভব।বর্তমানে আমাদের দেশে লাভজনক
পেশা হিসেবে হাঁস পালন পদ্ধতি অনেকে বেছে নিয়েছেন।এখন অনেক মানুষ অন্য পেশার
পাশাপাশি হাঁস পালন পদ্ধতি করছেন তারা এতে কম খরচে স্বল্প আয়ে ছোট জায়গায় এই
ব্যবসা অনেক লাভজনক।
আমাদের দেশে উন্নত মানের হাঁস বছরে প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০ টি ডিম দিয়ে থাকে।হাঁস
পালন পদ্ধতিতে যাদের সঠিক জ্ঞান ভালোভাবে রয়েছে তাদের জন্য এই হাঁস পালন পদ্ধতি
ব্যবসা খুবই সুবিধাজনক।আমাদের দেশে প্রায় বেশিরভাগ লোক বেকার রয়েছে আর এই
বেকারত্ব সমস্যা দূর করতে হাঁস পালন পদ্ধতি বেছে নিতে পারেন।এতে কম খরচে স্বল্প
আয়ে অনেক হাঁস পালন করা সম্ভব ও সুবিধাজনক।
যারা চাকরির পাশাপাশি একটু বেশি আয়ের চিন্তা ভাবনা করছেন তারা এই হাঁস পালন
পদ্ধতি বেছে নিতে পারেন।হাঁস পালনে অনেক লাভ রয়েছে পরিবারে পুষ্টি যোগান দিতে
সহায়তা করে হাঁসের ডিমে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন রয়েছে যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই
উপকারী উপাদান।তবে আবদ্ধ পদ্ধতিতে হাঁস পালন অনেক সুবিধা রয়েছে এতে জায়গা কম লাগে
অল্প খরচে লাভবান হওয়া যায়।
আরও পড়ুনঃ দেশি হাঁস কত দিনে ডিম দেয়
তাদের নিজের খাদ্য নিজেরাই যোগার করতে পারে এতে খরচ কম হয় তাছাড়া এরা বেশির ভাগই
বাইরে থাকে পোকামাকড় লতা পাতা কচুরিপানা শেওলা ইত্যাদি খেয়ে থাকে।এই হাঁস পালনে
পরিশ্রম কম হয় অল্প জায়গায় ৩০ থেকে ৪০ টা হাঁস পালন করা সম্ভব।এতে পরিবারে ঘাটতি
পূরণে সাহায্য করে আমাদের শরীরের জন্য হাঁসের ডিম খুবই উপকারী উপাদান।তাই আপনারা
যদি হাঁস পালনে ইচ্ছুক থাকেন অবশ্যই এই ব্যবসা সুবিধাজনক ও সহজেই লাভবান হওয়া
যায়।
হাঁসের বাচ্চা পালন পদ্ধতি
হাঁসের বাচ্চা পালন পদ্ধতি আপনারা অনেকেই হাঁসের বাচ্চা পালন করতে ইচ্ছুক।তবে
কিভাবে লালন পালন করবেন কিভাবে খাবার খাওয়াবেন কি কি রোগের টিকা দিতে হবে কোন
জায়গায় রাখলে ভালো হবে কোন জাতের হাঁস পালন লাভজনক এই সকল নিয়ম গুলো আপনাদের
জানাবো।যারা নতুন ভাবে খামার করতে চাইছেন তারা এই নিচে নিদের্শনা অনুযায়ী মেনে
কাজ করলে অবশ্যই এই ব্যবসায় সফল হওয়া সম্ভব।
হাঁসের বাচ্চার ঘর পাকা থাকলে খুব ভালো হয়,তবে মেঝে যদি কাচা হয় তাহলে ধানের
তুষ,অথবা খড় বিছিয়ে দিবেন যাতে ঠান্ডা বা ভেজা যেনো না থাকে।কারন হাঁসের জন্য
শুকনো জায়গা দরকার এরা সাধারণত শুষ্ক জায়গায় থাকতে বেশি পছন্দ করে।বাচ্চা কে কিনে
আনার পর অবশ্যই স্যালাইন বা গ্লকোজ খাওয়াতে হবে।
আধা ঘন্টা পর বাচ্চা কে
খাবার দিতে হবে,তবে খাবার হিসেবে চিড়া অথবা মুড়ি ভিজে খাওয়াতে হবে পারলে মেঝেতে
ছিটিয়ে দিবেন তাহলে খেতে সুবিধা হবে এবং খাবার দিতে হবে প্রথমতো একদিন পর্যন্ত।যখন হাঁসের বাচ্চার বয়স এক মাস হবে তখন থেকে পিলেট ফিড ভিজিয়ে খেতে দিতে হবে তবে
এইটা খেয়াল রাখতে হবে যাতে কোনো জায়গা ভিজে না থাকে।
এবং হাঁসের বাচ্চারা শুকনো
খাবার খেতে পারে না খেয়াল রাখতে হবে খাবার যেনো বেশি ভিজে না যায়।এরপর বাচ্চার
বয়স যখন ১৫-২০ দিন হবে তখন পানি খেতে দিতে হবে।কিন্তু ভুলেও এই অবস্থায় পানিতে
নামতে দেওয়া যাবে না এতে বাচ্চার ঠান্ডা লাগতে পারে।বাচ্চার কিছু বয়স হওয়ার পরে
একটু পানিতে দিতে হবে তবে বেশিক্ষণ পানিতে রাখা যাবে না।
আরও পড়ুনঃ হাঁস পালন পদ্ধতি pdf
আবার হাঁসের বাচ্চাকে নিয়মিত টিকা দিতে হবে যখন হাঁসের বাচ্চা ৩০দিন বয়স হবে তখন
প্লেগ টিকা দিতে হবে।আবার যখন হাঁসের বাচ্চার বয়স ৪০দিন হবে তখন ডাক প্লেগ টিকা
দিতে হবে এবং এক মিলি করে।আবার ৬০ দিন বয়সে কলেরা টিকা দিতে হবে এক মিলি করে।শেষ
যখন ৭০দিন বয়স হবে তখন ডাক কলেরা টিকা দিতে হবে এতে বাচ্চা অনেক রোগ বালায় থেকে
রেহায় পাবে।তবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী টিকা দিয়ে নিতে পারেন।
হাঁসের বাচ্চার খাবারের তালিকা
হাঁসের বাচ্চার খাবারের তালিকা হাঁসের বাচ্চার জন্য চিড়া বা মুড়ি ভিজিয়ে ছিটিয়ে
দিতে হবে,তবে খাবার হিসাবে পিলেট ফিড খাওয়াতে পারেন এতে খুবই
উপকার হবে।খাবার গুলো শুকনো জায়গায় ছিটিয়ে দিতে হবে যাতে খাবার খেতে সুবিধা
হবে।কারন হাঁসের বাচ্চা সাধারণত শুকনো জায়গায় থাকতে বেশি ভালোবাসে।
আবার এদের বয়স যখন একটু বেশি হয় তখন খাবার খাওয়া নিয়ে কোনো চিন্তা থাকে না এরা
সাধারণত বাড়ির ভাত উচ্ছিষ্ট খাবার খায়,তরকারি ডাল ভাতের মাড় খায় পোকামাকড় খেতে
পারে কচুরিপানা কীটপতঙ্গ শেওলা ইত্যাদি খেয়ে থাকে।আবার আরও কিছু খাবার রয়েছে
ভাতের চাল ছোলা চালের কুড়াঁ ধানের তুষ,গমের ভূষি ইত্যাদি খাবার হিসেবে দিতে
পারেন।
এগুলো খেয়ে এদের তাড়াতাড়ি ওজন ও বৃদ্ধি পায়,আবার বেড়ে ওঠতে সহায়তা করে।কোন জাতের
হাঁস পালন লাভজনক রয়েছে এবং হাঁস পালনে কম খরচে কম স্বল্প আয়ে ছোট জায়গায়
এদের লালন পালন করা সম্ভব।এতে ব্যয়ের থেকে বেশি আয় করা সম্ভব এবং
অনেক সহজেই এই ব্যবসায় লাভবান হওয়া যায়।আমাদের দেশে আবহাওয়া ভালো থাকায় অনেকে এই
হাঁস পালন পদ্ধতি বেছে নিয়েছেন এবং দীর্ঘদিন ধরে পালন করা যায়।
বাচ্চাদের বিশেষ করে দিনে চার থেকে পাঁচ বার খাবার দিতে হবে।বাড়ির কাছে হাঁস
চড়ানোর মতো জায়গা থাকলে খুবই ভালো হয় এতে শারিরীক ভাবে তাড়াতাড়ি বেড়ে ওঠতে সহায়তা
করে।হাঁস যখন পূর্ণবয়স্ক হয় তখন তারা সারাদিনে ২০০-৩০০ গ্রাম খাবার খেয়ে
থাকে।তবে হাঁসের পিছনে পড়ে থাকলে ভালোভাবে লালন পালন করতে পারলে এই ব্যবসায় অনেক
লাভবান হওয়া যায়।
দেশি হাঁস কত দিনে ডিম দেয়
দেশি হাঁস কত দিনে ডিম দেয় আমরা সাধারণত হাঁস পালনে জানতে চাই যে হাঁসের কত দিন
বয়স হলে ডিম দেওয়া শুরু করে।তবে আমরা কখনো ভেবে দেখেছি যে কোন জাতের হাঁস পালন
করলে বেশি ডিম পাওয়া যায় এবং কোন জাতের হাঁস ভালো হয়তো তেমন জানা নেই।আর রয়েছে যে
কেমন খাদ্য খাওয়াতে হবে,কোন খাদ্য খাওয়ালে ওজন তাড়াতাড়ি বেড়ে যায়।
কোন জাতের হাঁস পালন লাভজনক হয়তো কম বেশি সবাই জানি সাধারণত
গ্রামাঞ্চলে খাঁকি ক্যাম্বেল হাঁসের অনেক জনপ্রিয়তা রয়েছে।আমাদের দেশে যে খাঁকি
ক্যাম্বেল গুলো রয়েছে এরা তিন থেকে চার মাস পর ডিম দেওয়া শুরু করে।এরা একটানা এক
থেকে দুই বছর ডিম দিয়ে থাকে।খাঁকি ক্যাম্বেল হাঁস গুলো বছরে প্রায় ২৫০-৩০০ ডিম
দিয়ে থাকে।আবার দেশি হাঁস গুলো একটু দেরিতে ডিম পাড়ে এরা ৫-৬ মাস পর ডিম দিতে
শুরু করে।তবে এরা বছরে প্রায় ১৬০-২০০ পর্যন্ত ডিম দেয়।
আরও পড়ুনঃ হাঁস পালনের পদ্ধতি কয়টি
আবার এদের মধ্যে রয়েছে বেইজিং হাঁস এদের সাড়ে চার থেকে পাঁচ মাস
বয়স হওয়ার পর ডিম দেয়।এরা বছরে ডিম দিয়ে থাকে প্রায় ২০০-২৫০ টি।চিনা হাঁস রয়েছে
এদের ৬-৭ মাস বয়স হওয়ার পর ডিম দেয় এবং এরা বছরে গড়ে ১৫০টি ডিম দেয়।এদের মধ্যে
প্রায় সব গুলোকে যদি নিয়মিত খাবার পরিমাণ মতো খেতে দেওয়া হয় তাহলে এই হাঁস পালনে
অনেক লাভবান হওয়া যায়।
তবে এই হাঁসের ডিম আমাদের শরীরের জন্য অনেক ভিটামিন হিসেবে কাজ করে।আমরা যারা
একটু মধ্যবিত্ত তারা এই হাঁস পালন করে ও ডিম বিক্রি করে পরিবারে অনেক ঘাটতি পূরণে
সহায়তা করে।আপনারা যদি হাঁস পালনে আগ্রহ হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই এই তথ্য গুলো
জানা দরকার।আর কি কি জাতের হাঁস পালন করলে বেশি ডিম দেয় বেশি লাভবান হওয়া যায় এই
ব্যবসায় তা সব নিয়ম বলে দেওয়া রয়েছে।আপনারা এই হাঁস ব্যবসা শুরু করে দেন এতে
জনপ্রিয়তা অনেক রয়েছে এবং এতে অল্প আয়ে অনেক লাভবান হওয়া যায়।
হাঁস পালনের পদ্ধতি কয়টি
কোন জাতের হাঁস পালন লাভজনক হাঁস পালনের পদ্ধতি কয়টি এবং কি কি সুবিধা অসুবিধা
রয়েছে সকল সমস্যাগুলো তুলে ধরা হয়েছে।নদী নালা খাল বিল পুকুর জলাশয় এসব মিলে
আমাদের সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থায় সাধারণ গ্রাম অঞ্চলের মানুষ
নদী নালা খাল বিল হাওড় বাওর,এসব জায়গায় হাঁস পালন করে জীবিকা নির্বাহ করে
থাকে।বর্তমান আমাদের দেশে সাধারণ জনগোষ্ঠী কম পুঁজিতে হাঁস পালনের মাধ্যমে জীবিকা
নির্বাহ করেন।আমাদের গ্রামাঞ্চলে সাধারণত হাঁসের খামার না থাকলেও গ্রাম অঞ্চলের
মানুষ খোলামেলা অবস্থায় হাঁস পালন করে থাকে।
তবে হাঁস পালনের কয়েকটি পদ্ধতি রয়েছে যেমন
- আবদ্ধ পদ্ধতিতে হাঁস পালন
- উন্মুক্ত পদ্ধতিতে হাঁস পালন
- লেন্টিং পদ্ধতি
- হার্ডিং পদ্ধতি
- খাঁচা পদ্ধতি
উন্মুক্ত পদ্ধতির মাধ্যমে হাঁস পালন করা খুবই সহজ।আমাদের গ্রাম
অঞ্চলের সাধারণত এই উন্মুক্ত পদ্ধতির মাধ্যমে হাঁস পালন করে থাকে।এই পদ্ধতির
মাধ্যমে হাঁস পালনে অনেক সুবিধা এবং দিনের বেলায় হাঁস ছেড়ে দেওয়া হয়,যাতে তারা
নিজেদের খাদ্য নিজেই সংগ্রহ করতে পারে।প্রতিদিন সন্ধ্যা বেলায় হাঁস গুলো ঘরে ওঠবে
তার আগে কিছু সুষম খাদ্য তাদের খাওয়াতে হবে।
কম জায়গায় বেশি হাঁস হলেও বাড়িতে রাখা যায়।উন্মক্ত পদ্ধতিতে হাঁস পালনে তাদের
বেশি খাবার না দিলেও চলে।যেসব এলাকায় বাড়ির কাছে জলাশয় খাল বিল রয়েছে তাদের হাঁস
পালন করা অনেক সুবিধাজনক।সকাল বেলায় হাঁস ছেড়ে দেওয়ার সময় একটু দেরিতে ছেড়ে দিতে
হবে কারন এরা সকালে ডিম দিতে বেশি পছন্দ করে।
এই উন্মক্ত পদ্ধতিতে হাঁস পালনে অনেক
সুবিধা রয়েছে খোলামেলা জায়গায় পালন করা যায় জায়গা কম লাগে দিনের বেলায় আলো বাতাস
পায় এতে মানুষের পরিশ্রম কম হয়।তবে খেয়াল রাখতে হবে যাতে কোনো শিয়াল বিভিন্ন বন্য প্রানি রয়েছে যেনো খেতে না
পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।আবার নিয়মিত হাঁসের টিকা দিতে হবে আবদ্ধ পদ্ধতিতে
পালনে কিছু সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছে।
আবদ্ধ পালনে হাঁস তেমন বাইরের খাবার খেতে পারে
না আলো বাতাস তেমন পায় না ঠিক মতো বেড়ে ওঠতে পারে না।তবে আবদ্ধ পদ্ধতিতে পালন করে অনেক হাঁস কম জায়গায় কম খরচে অল্প পরিশ্রমে লালন
পালন করা যায়।আবার আবদ্ধ পদ্ধতিতে পালনে অনেক কম ঝামেলা রয়েছে এতে পশুপাখির হাত
থেকে মুক্তি থাকে,বন্য প্রাণী খাওয়া রেহাই পায়।খাবার গুলো সমানভাবে সবাই খেতে
পারে এবং সবগুলো হাঁসকে পর্যবেক্ষণ করতে সুবিধা হয়।
৫০টি হাঁস পালন পদ্ধতি
৫০টি হাঁস পালন পদ্ধতি কিভাবে করব
সকল নিয়ম ও সমস্যাগুলো তুলে ধরা হলো।আমাদের বাংলাদেশে আবহাওয়া ভালো থাকায় হাঁস
পালনে অনেক সুবিধা রয়েছে।তবে গ্রাম এলাকায় হাঁসের খামার না থাকলেও প্রায় বাড়িতে
হাঁস পালন করে থাকে।তবে গ্রামাঞ্চলে হাঁস পালন করা অনেক সুবিধাজনক কারন কম জায়গায়
অল্প খরচে অল্প পরিশ্রমে হাঁস পালন করা হয়ে থাকে।
তবে এই হাঁস পালনের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে প্রায় বাংলাদেশের সব জায়গায় গ্রাম অঞ্চলে
বেশি করে হাঁস পালন করলে অনেক লাভবান হওয়া যায় এতে পরিবারে ঘাটতি পূরণে
সহায়তা করে।তবে যারা বেকারত্ব দূর করতে এই হাঁস পালন পদ্ধতি বেছে নিতে পারেন এতে
অনেক লাভ রয়েছে।কোন জাতের হাঁস পালন লাভজনক এবংযাদের হাঁস পালনে সঠিক জ্ঞান রয়েছে
তারা এই ব্যবসা করতে পারেন এবং এই ব্যবসায় প্রচুর লাভ রয়েছে।
একসাথে বেশি হাঁস পালনে জায়গা কম লাগে খাবার খরচ কম হয় এরা সাধারণত বাইরের খাবার
খেয়ে থাকে এতে অনেকটা খরচের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।রাতের বেলায় অল্প জায়গায়
অনেক গুলো হাঁস একসাথে থাকতে বেশি পছন্দ করে।তবে নিয়মিত এদের দেখাশুনা করলে এরা
তাড়াতাড়ি বেড়ে ওঠতে সহায়তা হয়।প্রতিদিন বাইরে হাঁস গুলো ছেড়ে দিতে হবে এতে তাদের
নিজের খাদ্য নিজেই যোগার করে এতে খরচ কমে যায়।
এরা সাধারণত বাইরের খাবার খেতে বেশি পছন্দ করে যেমন পোকামাকড় কচুরিপানা কীটপতঙ্গ,
শেওলা ইত্যাদি খেয়ে থাকে।তাছাড়া বাড়িতে মানুষের যে উচ্ছিষ্ট খাবার রয়েছে পচা
ভাত,তরকারি চালের কুড়াঁ গমের ভূষি,ধানের তুষ ইত্যাদি।আমাদের হয়তো হাঁস পালনে তেমন
জানা নেই যে কতটা লাভজনক রয়েছে এই ব্যবসায়।তবে নিজের বেকারত্ব দূর করতে হাঁস পালন
করে থাকি এতে পরিবারের চাহিদা পূরনে সহায়তা করবে এবং এই ব্যবসায় অতি সহজেই লাভবান
হওয়া যায়।
আরও পড়ুনঃ ৫০টি হাঁস পালন পদ্ধতি
এই হাঁস পালনে অনেকটা মানুষ জীবীকা নির্বাহ করে বেঁচে থাকতে পারে।আপনারা যদি এই
ব্যবসা করতে আগ্রহ থাকেন তাহলে এই ব্যবসা নিশ্চিত করা যায়।এতে অল্প খরচে অনেক
লাভবান হওয়া যায় এতে আপনাদের জীবনে উন্নতি লাভ করতে পারেন।গ্রাম এলাকায় এই হাঁস
পালন করে অনেকে নিজের বেকারত্ব দূর করে ভালো জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে এতে নিজের ও
দেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা লাভ করছে।
আমাদের শেষ মন্তব্য
আমরা এতক্ষণ ধরে যে আলোচনা গুলো করেছি এবং সকল বিষয় উপস্থাপন করার চেষ্টা
করেছি।আপনারা যদি এই সকল বিষয় গুলো পড়ে থাকেন এবং কোন জাতের হাঁস পালন
লাভজনক রয়েছে যদি নতুন কিছু জেনে উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার
আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব প্রতিবেশীদের কাছে শেয়ার করুন।কারন আমরা প্রতিদিন
নানারকম বিষয় নিয়ে আলোচনা করি এবং এই তথ্য গুলো পড়ে যেনো উপকৃত হতে সাহায্য করে
আর সেই সকল সমস্যা গুলো আমার তুলে ধরেছি।
আমরা যে তথ্য গুলো নিয়ে আলোচনা করলাম আপনারা চাইলে এই ব্যবসা করতে পারেন এতে অনেক
সফলতা রয়েছে খুব সহজেই লাভজনক হওয়া সম্ভব।আর আমরা প্রতিনিয়ত নতুন নতুন তথ্য নিয়ে
আমরা আলোচনা করে থাকি এবং এই নতুন নতুন তথ্য গুলো জানতে হলে অবশ্যই আমাদের
ওয়েবসাইট ফলো করুন আর অন্যদের শেয়ার করুন।
আর আপনি যদি একজন সচেতন নাগরিক হয়ে থাকেন তাহলে নিয়মিত এই তথ্য গুলো পড়ুন এতে
অনেকটা আপনার উপকারে আসবে।এই নতুন তথ্য গুলো জানতে হলে আপনারা নিয়মিত অবশ্যই
আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।এত সময় ধরে আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
সবাই ভালো থাকবেন।
রিয়েল লাইফ সফট আইটিতে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url