ছাগল পালন পদ্ধতি এর নিয়ম জানুন

ছাগল পালন পদ্ধতি আমাদের গ্রামাঞ্চলে বেশিরভাগ দেশি জাতের ছাগল পালন করা হয়ে থাকে।তবে এদের মধ্যেও কিছু দেশি ছাগল পালন পদ্ধতি রয়েছে ও বিভিন্ন জাতের ছাগল রয়েছে এই ছাগলগুলোর মধ্যে কোন জাতের ছাগল পালন করলে বেশি লাভবান হওয়া সম্ভব আজকের আলোচনায় সেই তথ্যগুলো আপনাদের সামনে শেয়ার করবো মনোযোগ সহকারে আপনারা তথ্যগুলো পড়ুন।
আমরা আরো নতুন কিছু তথ্য নিয়ে এসেছি যা হয়তো সবার কাছে জানা নেই।তো চলুন জেনে নেওয়া যাক আজকের আলোচনায় কি কি ছাগল পালন করলে সহজে লাভবান হওয়া যায় কোন জাতের ছাগল বেশি লাভজনক।কোন জাতের ছাগল খামারে লালন পালন করলে খরচ কম হয় এবং তাড়াতাড়ি বাজারজাত করা যায় সেই জাতগুলো নিচে আলোচনা করা হয়েছে এই বিষয়গুলো জানতে হলে অবশ্যই নিচে তথ্যগুলো মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।

পেজ সূচিপত্রঃ ছাগল পালন পদ্ধতি এর নিয়ম

ভূমিকা

প্রিয় পাঠক আপনাদের সামনে যে ছাগল পালন পদ্ধতি তথ্যগুলো তুলে ধরব হয়তো কম বেশি সবাই জানি।তবে এর মধ্য ছাগল পালন কিভাবে করতে হয় কিভাবে নিয়ম মেনে লালন পালন করলে সহজে বড় করে অতি তাড়াতাড়ি লাভবান হওয়া যায়।আর কি জাতের ছাগল পালনে সুবিধা রয়েছে এ সকল বিস্তারিত নিচে জানুন।

কোন জাতের ছাগল পালন লাভজনক

কোন জাতের ছাগল পালন লাভজনক আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের বা বিভিন্ন জাতের ছাগল রয়েছে তবে কোন জাতের ছাগল পালন করলে বেশি লাভজনক হওয়া যায় এবং এর উপকারিতা কি রয়েছে সকল বিষয়গুলো আমরা আলোচনা করব।আপনি যদি ছাগল পালনের চিন্তা করেন বা খামারের জন্য পালন করার চিন্তা করেন বা নিজের বাড়িতে ছাগল পালার চিন্তাভাবনা করেন তাহলে আজকের আলোচনা থেকে বিভিন্ন ছাগলের জাত জেনে নিতে পারেন।

ছাগল পালন পদ্ধতি ও এই সকল ছাগলের জাত জানার পর আপনার ভবিষ্যতে ছাগল পালন করতে কাজে লাগতে পারে।আমাদের দেশে ছাগলের বিভিন্ন ধরনের জাত রয়েছে তাদের মধ্যে বেশিরভাগই আমরা কিছু দেশি জাত বেশি পালন করে থাকি।আবার বর্তমান আমাদের দেশে খামারিরা বিদেশি ছাগল পালন করছে কারণ খামারদের উদ্দেশ্য বিদেশি ছাগলগুলো পালন করলে একদিকে পরিমাণ অনুযায়ী দুধ বেশি দেয় আর তুলনামূলক মাংস পরিমাণও বেশি।

তাই আমাদের দেশে খামারিরা এই বিদেশী ছাগল লালন পালনে বেশি আগ্রহ হচ্ছে।তবে হয়তো আপনারা এটাও ভাবতে পারেন যে দেশি ছাগলের কোন মূল্য নেই মোটেও কিন্তু এটা না।তবে বিদেশি ছাগলের থেকেও দেশি ছাগলের দুধ ও মাংস দিক দিয়ে অনেক সুস্বাদু এবং বাজারে মাংসের চাহিদা অনেক।আমাদের দেশের খামারিরা ছাগল পালন করে থাকেন দুটি উদ্দেশ্যে যেমন ছাগলের জাত দেখে আর ছাগলের দুধ ও মাংস উৎপাদনের উদ্দেশ্যে পালন করে থাকে।

তবে এই ছাগলগুলোর মধ্যে অনেক জাতের ছাগল রয়েছে যেমন রাম ছাগল,দেশি ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল,বিটল ছাগল,বোয়াল ছাগল এরা সাধারণত বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে এদের গায়ের কালার সবার আলাদা।বাংলাদেশে এই ছাগলগুলোর জাত প্রচলন বেশি চলতেছে ও আমাদের দেশে খামারিরা এ সকল ছাগলের প্রতি বেশি আগ্রহ কারণ এতে বেশি লাভজনক রয়েছে ও সহজে বেশি উপার্জন করা সম্ভব।

এগুলোর মধ্যে দেশে ছাগল এদের ওজন হয় থাকে প্রায় 30 থেকে 40 কেজি।এরা সাধারণত ছয় সাত মাস পর একসাথে দুই তিনটি করে বাচ্চা দেয়।আবার এদের খাবার নিয়ে তেমন চিন্তা করতে হয় না কারণ এরা বাহিরে লতাপাতা ঘাস এগুলো খেয়ে জীবন যাপন করে থাকে।আমাদের গ্রাম অঞ্চলে বেশিরভাগ দেশি ছাগল ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল এগুলো বেশিরভাগ পালন করে থাকে।

সাধারণত গ্রাম অঞ্চলে এই দেশি জাতের ছাগল পালন করে থাকে এতে জীবিকা নির্বাহ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।গ্রাম্য এলাকায় খোলামেলা অবস্থায় ছাগল পালন করলে এতে লাভজনক হওয়া যায় এতে খরচ কম হয় জায়গা কম লাগে অতি সহজে উপার্জন করা সম্ভব।

ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল পালন পদ্ধতি

ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল পালন পদ্ধতি সাধারণত গ্রাম অঞ্চলে ব্ল্যাক বেঙ্গল জাতের ছাগল বেশিরভাগ লালন পালন করা হয় থাকে।এই ছাগলগুলো সাধারণত এদের কালার কালো ধূসর হালকা বাদামী রঙের হয়ে থাকে।এই ছাগল পালনে লাভজনক হওয়া সম্ভব কারণ গ্রাম অঞ্চলে প্রায় সবার বাড়িতে এই ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল পালন করে থাকে।বাংলাদেশে প্রায় সব জায়গাতে বেশিরভাগই ৯৫% লালন পালন করে থাকে।

এই দেশি ছাগলের মাংস খেতে খুবই সুস্বাদু এর চাহিদা ও ব্যাপক রয়েছে সব জায়গায় বাজারে এর মূল্য অনেক বেশি।এই আলোচনার মাধ্যমে আমরা জানবো যে ছাগলের বয়স কেমন হলে লালন পালন করা সম্ভব যেমন ছাগলের দাঁত দেখে বয়স নির্ণয় করা,ছাগলের দাম কেমন হওয়া উচিত সেই সম্পকে ধারনা থাকা উচিত,ছাগলকে খাসি করার নিয়ম জানতে হবে ছাগলকে সঠিক খাদ্য খাওয়ানোর নিয়ম ইত্যাদি।

বাজার থেকে ছাগল কিনার সময় লক্ষ্য করতে হবে যে ছাগলের বয়স কত,সুঠাম দেহের অধিকারী কিনা,বাচ্চা কয়টা দিয়ে থাকে,দুধ কেমন দেয়।তবে ছাগল কিনতে হলে বাজার থেকে কিনার থেকে গ্রামাঞ্চলে দেখেশুনে কিনা অনেক ভালো কারণ এতে ভালো ছাগল পাওয়া সম্ভব।কারণ বাজার থেকে ছাগল কিনা তেমন ভালো না এতে ছাগল অসুস্থ হতে পারে তা হয়তো আমরা সহজে বুঝতে পারব না তাই গ্রাম অঞ্চলে কিনা অনেক ভালো।

দেশি ছাগল পালন পদ্ধতি সাধারণত তুলনামূলক দাম কম হয়ে থাকে এবং এই ছাগলকে আরো বড় জাতের ছাগল তৈরি করতে গেলে অবশ্যই দুই তিন বছর লালন পালন করতে হবে এতে অনেক বড় অর্থ উপার্জন করা সম্ভব।ছাগলে দাঁত দেখে বয়স নির্ধারণ করা খুবই সহজ যেমন ১২ থেকে ২০ মাস অথবা এক থেকে দুই বছর হলে একজোড়া দাঁত থাকবে।আবার ২০ থেকে ২৫ মাস হলে দুই জোড়া দাঁত থাকবে।

অথবা ২৫ থেকে ৩০ মাস হলে তিন জোড়া দাঁত থাকবে।সর্বশেষ ৩০ থেকে ৩৮ মাস হলে চার জোড়া দাঁত থাকবে।শেষ যখন তিন বছর হবে তখন ছাগলের দাঁত ভাঙ্গা ভাঙ্গা থাকবে।ব্লাক বেঙ্গল ছাগলের বাসস্থান যেমন হয় থাকে শুষ্ক উঁচু জায়গায় থাকলে ভালো হয় কারণ এতে ভিজা বা বৃষ্টির পানি পড়া সম্ভাবনা থাকবে না।তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন ছাগলের ঘর পশ্চিম বা দক্ষিণ দিকে খোলা রাখলে ভালো হয় এতে আলো বাতাস পেতে সুবিধা হবে।

তবে দেশী জাতের ছাগল ঠাসাঠাসি অবস্থায় এক জায়গায় থাকতে পছন্দ করে না।ছাগলের জন্য কাঠের ঘর মাচা বানিয়ে বা ইট দিয়ে নির্মিত করলে ভালো হয় কারণে এরা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন জায়গায় থাকতে বেশি পছন্দ করে।তবে একদিকে খেয়াল রাখতে হবে ছাগলের মলমত্র নিষ্কাশনের জন্য অবশ্যই মাচাগুলো ফাঁকা ফাঁকা হতে হবে এতে মলমূত্র চলাচল সুবিধা হবে।আবার শীতের সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন ফাঁকা স্থানগুলো রয়েছে সেগুলোকে কোন বস্তা বা চট দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে এতে শীত থেকে রক্ষা পাবে।

ঘাস ছাড়া ছাগল পালন পদ্ধতি

ঘাস ছাড়া ছাগল পালন পদ্ধতি কিভাবে সম্ভব আমাদের বাংলাদেশে খামারিরা হয়তো ভাবতে পারেন ঘাস ছাড়া ছাগল পালন পদ্ধতি কিভাবে করা যায়।আমরা হয়তো কম বেশি জানি ঘাস ছাড়াও ছাগল পালন করা সম্ভব হয় হয়তো এতে একটু খরচ ব্যয়বহুল হবে কষ্ট হবে পরিশ্রম বেশি হবে।ছাগল পালনে ঘাস ছাড়া খামারে ছাগল পালন করা অনেক কষ্টকর ব্যাপার কারণ অনেকগুলো ছাগল একসাথে শুধু খাদ্য খাওয়ায়ে খামারে লালন পালন করা খরচ অনেক ব্যয়বহুল হয়ে যায়।
ঘাস ছাড়াও ছাগল পালন করা যায় যেমন খাদ্য খাওয়াতে হবে খড়কুটা গমের ভুষি,চালের কুড়া,লতা পাতা ভাত খাওয়াতে পারেন কারণ এতে খরচ অনেক বেশি হয়ে যায় এর ফলে এই ছাগল পালনে লাভজনক হওয়া সম্ভব হয় না।এতে খামারিরা ছাগল পালনে লাভজনক কমে যায় এর ফলে খামারিদের বলবো ঘাস ছাড়া ছাগল পালন তেমন সম্ভব না।

ছাগল পালন পদ্ধতি খামারিদের জন্য ভালো হবে ঘাস খরকুটা,লতাপাতা এইসব খাওয়ালে এতে খরচ কম হবে একসাথে ছাগল পালন করা সম্ভব হয় এতে লাভজনক হওয়া সম্ভব হয়।তবে গ্রাম অঞ্চলে খোলামেলা অবস্থায় ছাগল পালনে খুবই সুবিধাজনক এতে খরচ কম হয় জায়গা কম লাগে এতে খাবারের চিন্তা তেমন করতে হয় না বাহিরে এরা নিজের খাবার নিজে যোগাড় করে নেই।

খামারে ছাগল পালন করতে হলে অবশ্যই ঘাস খাওয়ানোর জন্য জমি দরকার কারণ অনেকগুলো ছাগল লালন পালন করতে গেলে অবশ্যই ঘাসের প্রয়োজন।কারণ ঘাস খাওয়ালে এতে খরচটা কম হয় ও সকল ছাগল সমানভাবে খাদ্য খেতে পারে এতে সঠিকভাবে বেড়ে উঠতে সাহায্য করবে।তবে খেয়াল রাখতে হবে সকল ছাগল নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা যেমন টিকা দেওয়া নিয়মিত খাদ্য খাওয়ানো পরিমিত খাদ্য খাওয়ানো যাতে স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
আবার যদি নিয়মিত সুষুম খাদ্য খাওয়ানো হয় ও সঠিকভাবে লালন পালন করা হয় থাকে তাহলে অতি সহজে বড় করা সম্ভব।সকল জাতের ছাগল পালনে অবশ্যই সতর্কতা থাকতে হবে যাতে কোন ছাগল অসুস্থ হলে তাকে সাথে সাথে সুস্থতা করে তোলা কারণ একটি ছাগল অসুস্থ হয়ে গেলে অনেকগুলো ছাগলের মধো রাখলে আরো অন্য ছাগলদের অসুস্থতা ছড়িয়ে যেতে পারে তাই তাড়াতাড়ি এই সতর্কতা এড়াতে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।

১০ টি ছাগল পালন করার পদ্ধতি

১০ টি ছাগল পালন করার পদ্ধতি হয়তো তেমন আপনাদের জানা নেই কিভাবে একসাথে দশটি ছাগল পালন করা যায় এর উপকারিতা কি কি রয়েছে ও নিয়ম-কানুন মেনে চললে অবশ্যই ছাগল পালনে লাভবান হওয়া সম্ভব।একসাথে এতগুলো ছাগল পালন করলে এতে সহজে লাভবান হওয়া যায় কারণ এতে খরচ কম হয় অল্প জায়গায় লালন পালন করা যায়।

আবার ছাগল পালন করার জন্য সঠিক নিয়ম কানুন জানতে হবে তাহলে ছাগল পালন করা খুবই সহজ হবে।অনেকগুলো ছাগল একসাথে লালন পালন করতে গেলে শুষ্ক জায়গা ও উঁচু জায়গা তৈরি করতে হবে যাতে এদের বসবাসের জন্য সুবিধা হয়।তবে খেয়াল রাখতে হবে তাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ আলো বাতাস পাওয়ার জন্য ঘর তৈরি করতে হবে।

আবার সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করা উচিত এতগুলো ছাগল একসাথে পালন করতে গেলে অবশ্যই সতর্কতার সাথে লালন পালন করা উচিত এবং সবাইকে নিয়মিত সুষম খাদ্য খাওয়ানো উচিত এবং প্রতি মাসে টিকা দেওয়া উচিত এতে করে ছাগল সুরক্ষা থাকে।ছাগল পালন পদ্ধতি এতগুলো ছাগল পালনে অবশ্যই ছাগলের পরিমাপ মতো মাচা বানিয়ে ঘর তৈরি করতে হবে যাতে একসাথে এতগুলো ছাগল বসবাস করতে সুবিধা হয়।

কারণ এতগুলো ছাগল এক জায়গায় বেশি ঠাসাঠাসি অবস্থায় থাকতে পছন্দ করে না।দশটি ছাগল পালনে এক জায়গায় সঠিকভাবে পালন করা যায় এতে সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হয় খাদ্য খাওয়াতে সুবিধা হয়।একসাথে বেড়ে উঠতে সাহায্য করে একে অন্য দেখাদেখি এরা নিজেদের খাবার নিজেই জোগাড় করে নেয় এক জায়গায় থাকলে এদের বেড়ে ওঠা সহজ হয় এতে করে লালন পালন করতে সময় কম লাগে।


প্রতিটি ছাগলকে যদি নিয়মিত সুষম খাদ্য পরিবেশন করা হয় ও সঠিক মতো পর্যবেক্ষণ করা হয় থাকে তাহলে বেড়ে উঠতে সময় কম লাগে অতি তাড়াতাড়ি বড় হয় এতে সহজে লাভজনক হওয়া যায়।তবে নিয়ম মেনে চললে ছাগল পালনে লাভবান হওয়া যায়।

দেশি ছাগল পালন পদ্ধতি

দেশি ছাগল পালন পদ্ধতি কিভাবে করতে হয় নিয়ম-কানুন কি কি রয়েছে দেশি ছাগল পালন করার কি উপকার রয়েছে এসব বিস্তারিত আলোচনা করব।আমরা হয়তো অনেকে জানিনা ছাগল পালন করলে কি রকম উপকার রয়েছে কি কি লাভজনক রয়েছে এ সকল বিস্তারিত বিষয়ে আজকে জানব।কিভাবে একটি দেশি ছাগল পালন করলে সহজে লাভবান হওয়া সম্ভব এর কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চললে খুব সহজে দেশি ছাগল পালনে লাভবান হওয়া যায়।

আমাদের গ্রাম অঞ্চলের বেশিরভাগই দেশি ছাগল পালন করা হয়ে থাকে।গ্রামাঞ্চলে দেশি ছাগল পালন করা খুবই সহজ এবং খোলামেলা জায়গায় ছাগল পালনে অনেক সুবিধা রয়েছে।এতে খরচ কম হয়,খাবারের চিন্তা করতে হয় না,এরা নিজেদের খাবার নিজে যোগাড় করে নিতে পারে।তাছাড়া দেশি ছাগল পালনে অনেক সুবিধা রয়েছে যেমন দেশি ছাগল পালন করলে এদের দুধ পাওয়া যায় ও মাংস তুলনামূলক বাজারে দাম অনেক বেশি,খরচ কম করতে হয় এরা নিজেদের মতো চলাফেরা করতে পারে বাইরে ছেড়ে দিলে এরা নিজেদের মতো লতাপাতা ঘাস ইত্যাদি খেয়ে বেঁচে থাকতে পারে।

গ্রামাঞ্চলে বেশিরভাগই প্রায় সবার বাড়িতে দেশি ছাগল রয়েছে এতে লালন পালন করা খুবই সুবিধা কারণ বাড়ির খাবার রয়েছে এতে অনেকটা খরচ কমে যায় বাড়ি খাবার খেয়ে একটা সুবিধা হয়।যেমন খড়কুটা,ভাত,গমের ভুসি,ঘাস বাহিরের খাবার খেয়ে জীবন যাপন করে।গ্রামাঞ্চলে ছাগল পালন পদ্ধতি অনেক সুবিধা রয়েছে ও দেশি ছাগল ছয় মাস পর দুই তিনটা করে বাচ্চা দিয়ে থাকে।

এই ছাগল পালন করার মাধ্যমে অনেকে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে এটা গ্রামাঞ্চলে বেকারদের বেকারত্ব দূর করতে সাহায্য করে।আপনারা যদি ছাগল পালনে আগ্রহ থাকে তাহলে অবশ্যই ছাগল পালন করতে পারেন এতে অনেক লাভবান হওয়া সম্ভব।তবে ছাগল পালন করতে হলে অবশ্যই সকল নিয়ম-কানুন অনুযায়ী লালন পালন করতে হবে তাহলে সহজে লাভবান হওয়া সম্ভব।

আবার যদি ছাগল পালনে তাদের নিয়মিত খাবার খাওয়ানো সঠিকভাবে পরিচর্যা করা পর্যবেক্ষণ করা হয় প্রতি মাসে টিকা প্রদান করা এই সকল কাজগুলো করতে একটু খরচ বেশি হতে পারে তবে এতে অনেকটা লাভ রয়েছে। যারা বেকার রয়েছেন ও বেকারত্ব দূর করতে বা চাকরি পাশাপাশি যদি বেশি আয়ের চিন্তা ভাবনা থাকে তাদের জন্য ছাগল পালন খুবই সহজ যদি আবদ্ধ পদ্ধতিতে বা খামারি পদ্ধতিতে ছাগল পালন করা আগ্রহ থাকে তাহলে এই নিয়মগুলো মেনে চললে অবশ্যই সহজে লাভবান হওয়া যায়।

ছাগলের নামের তালিকা

  • ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল
  • যমুনাপারি ছাগল
  • বিটল ছাগল
  • বোয়াল ছাগল
  • রাম ছাগল
ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল ও প্রায় দেশি জাতের হয়ে থাকে এদের গায়ের রং ধূসর কালো ও লালচে বাদামী রঙের হয়ে থাকে।এরা ছয় সাত মাস পর প্রায় দুই তিনটি বাচ্চা দেয়,আবার এদের মাংস অনেক সুস্বাদু ও মাংস হিসাবে বাজারে তুলনামূলক দাম অনেক বেশি।তাছাড়া ছাগল পালনে অনেক সুবিধা রয়েছে বেশিরভাগ গ্রাম অঞ্চলে এই সুবিধা গুলো পাওয়া যায় এতে ছাগল পালন করা খুবই সহজ হয়।

দেশি জাতের ছাগল পালনে অনেক লাভ রয়েছে দাম কম হিসেবে লালন পালন করার পর এদের বাজারে বিক্রি করলে অনেক ভালো মানের দাম পাওয়া যায়।দেশি ছাগল পালন পদ্ধতির থেকে খামারিরা বেশিরভাগ বিদেশি ছাগল লালন পালন করতে ইচ্ছুক কারণ বিদেশি ছাগল গুলিতে এদের দুধ বেশি দেয় ও মাংস বেশি হয় তুলনামূলক ওজন বেশি হয় এতে ব্যবসায়ীরা অনেক লাভবান হয়।


খামারদের উদ্দেশ্য বিদেশি ছাগল পালনে অতি সহজে লাভবান হওয়া যায় কারণ এদের মাংস তুলনামূলক বেশি ও এদের নিয়মিত খাওয়ালে খুব তাড়াতাড়ি বড় হয় ওজন বৃদ্ধি পায় এতে তাড়াতাড়ি বাজারজাত করা যায়।আমাদের বাংলাদেশে বেশিরভাগ খামারিরা বিদেশি ছাগল লালন পালন করে থাকে তাছাড়াও বাসা বাড়িতে বিদেশি ছাগল পালন করা যেতে পারে।
তবে বিদেশি জাতের ছাগল পালন করতে গেলে একটু খরচ ব্যয়বহুল হতে পারে কারন এদের খাবার পরিমাণ একটু বেশি লাগে তবে এর পিছনে খরচ করলে ভালো ফল পাওয়া যেতে পারে এতে লাভবান হওয়া যায়।আর দেশি ছাগল পালনে খরচ একটু কম হয় তবে দেশি ছাগল আর বিদেশী ছাগল অনেক আলাদা যেমন গায়ের রং আলাদা ওজন কম লম্বা চওড়া একটু কম আর বিদেশি জাতের ছাগল তুলনামূলক লম্বা চওড়া ও ওজন বেশি হয়ে থাকে দেখতেও অনেকটা সুঠাম দেহের অধিকারী হয়।

লেখকের মন্তব্য

আজকের এই আলোচনায় বিভিন্ন জাতের ছাগল নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।এবং এই তথ্যগুলোর মধ্যে থেকে আপনারা যদি উপকৃত হয়ে থাকেন বা নতুন কিছু তথ্য জেনে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাদের বন্ধুবান্ধব,আত্মীয়স্বজন,ও পাড়া প্রতিবেশীদের কাছে শেয়ার করবেন।আপনি যদি একজন সচেতন নাগরিক হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের এই তথ্যগুলো নিয়মিত পড়ুন।

আমরা নিয়মিত এ ধরনের আর্টিকেল পাবলিশ করে থাকি আমাদের ওয়েবসাইটে আর নতুন নতুন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন এবং অন্যদের শেয়ার করে দিন।আমরা ছাগলের জাত সম্পর্কে সকল কিছু তথ্য আপনাদের সামনে শেয়ার করেছি যদি আপনারা ছাগল খামার তৈরী করতে চান বা ব্যবসা করতে চান তাহলে এই তথ্যগুলো হয়তো আপনাদের ভবিষ্যতে কাজে আসতে পারে।আমাদের নতুন নতুন তথ্যগুলো পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।আপনারা সবাই ভাল থাকবেন দেখা হচ্ছে আবার নতুন কিছু তথ্য নিয়ে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রিয়েল লাইফ সফট আইটিতে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url