পেঁয়ারা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা বিস্তারিত জেনে নিন
পেঁয়ারা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা বিস্তারিত জেনে নিন।আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন যে কোন জাতের পেয়ারা চাষ করলে ভালো লাভবান হওয়া
যায়।আজকের আলোচনায় আমরা জানবো কি কি পদ্ধতিতে পেয়ারা চাষ করলে সহজে লাভবান
হওয়া যায় এবং পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা ও ক্ষতিকারক দিক কি কি রয়েছে সে
বিষয়গুলো তুলে ধরেছি।সকল তথ্যগুলো জানার জন্য নিচে থাকা তথ্যগুলো মনোযোগ সহকারে
পড়তে থাকুন।
রূপচর্চায় পেয়ারা পাতার কি কি উপকারিতা রয়েছে সেসব তথ্যগুলো আমরা বিস্তারিত
আলোচনা করবো।আজকে আমরা জানবো পেয়ারা খেলে কি উপকার রয়েছে আমাদের শরীরের জন্য
এবং এর পুষ্টিগুণ গুণাগুণ সম্পর্কে সকলেরই জানা উচিত।আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা
পেয়ারার পাতা চুলের ব্যবহারে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।এই বিষয়গুলো
বিস্তারিত জানার জন্য নিজের আর্টিকেলগুলো মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পেজ সূচিপত্রঃ পেঁয়ারা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা বিস্তারিত জেনে নিন
- পেয়ারা পাতা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানুন
- রাতে পেয়ারা খেলে কি হয় জানুন
- পেয়ারা খাওয়ার অপকারিতা জেনে নিন
- পেয়ারা খাওয়ার নিয়ম জেনে নিন
- গর্ভাবস্থায় পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা
- পেয়ারা পাতা দিয়ে রূপচর্চা সম্পর্কে জেনে নিন
- পেয়ারা চাষ করার পদ্ধতি জেনে নিন
- টবে পেয়ারা চাষ পদ্ধতি নিয়ম জেনে নিন
- লেখকের মন্তব্য
ভূমিকা
বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় সব জায়গায় এ পেয়ারা চাষ হয় থাকে।তবে এর কিছু
নিয়মকানুন রয়েছে যেমন রোপন করার শুরু থেকে বাজারজাত করা পর্যন্ত অনেকেরই সঠিক
ধারণা জানা নেই।এছাড়াও রূপচর্চায় পেয়ারা পাতার অনেক গুনাগুন রয়েছে।এবং গর্ব
অবস্থায় পেয়ারা খাওয়া ঠিক কিনা এ সকল বিষয় জানা উচিত।এছাড়াও পেয়ারা
অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে ক্ষতি হতে পারে এ সকল তথ্যগুলো সকলের জানা উচিত।এই তথ্যগুলো
জানার জন্য মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।
পেঁয়ারা পাতা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানুন
আমাদের বাংলাদেশে পেয়ারা প্রায় সব জায়গায় পাওয়া যায় এবং ভালো মানের চাষ
হয়।সাধারণত পেয়ারা পাতা খাওয়ার উপকারিতা হয়তো অনেকেই কম বেশি জানি।তবে এর
নিয়ম উপকারিতা কিভাবে ব্যবহার করা উচিত এবং কি কি কাজের ব্যবহার করা যায়।সকল
তথ্যগুলো বিস্তারিত আজকে আমরা আলোচনা করবো।
হয়তো অনেকেই জানতে চাইছেন পেয়ারা পাতায় কি উপকারিতা রয়েছে এর গুনাগুন কি কি
রয়েছে।আপনারা কখনো ভেবে দেখেছেন ফল হিসাবে পেয়ারা আমরা সবাই খেয়ে থাকি।কিন্তু
কখনো ভাবি নাই যে পেয়ারা পাতা কতটা উপকারে আসতে পারে আমাদের।তো আজকে জানবো
পেয়ারা পাতা কোন কোন কাজে ব্যবহার করা যায় আমাদের শরীরের জন্য কতটা উপকারী।
সকালে নিয়মিত খালি পেটে
যদি পেয়ারা পাতা চিবিয়ে খাওয়া হয়
তাহলে যাদের বদহজম রয়েছে এই সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে।এছাড়াও তাদের
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য এই পেয়ারা পাতা খুবই উপকারী।তবে যদি
নিয়মিত রাতে পেয়ারা পাতা চিবিয়ে খাওয়া হয় এবং ফুটে পানি খাওয়া হয় তাহলে
শরীরের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
এছাড়াও পেয়ারা পাতায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফাইবার ফসফরাস এনজাইম এই
জাতীয় উপাদানগুলো আমাদের শরীরে বিভিন্ন জায়গায় কাজ করে।যাদের ডায়াবেটিস
রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে পেয়ারা পাতা ফুটে পানি করে খাওয়া খুবই উপকার হবে।এতে
শরীরের জন্য খুবই একটি উপকারী উপাদান যা ঔষধ হিসেবে কাজ করে।
এছাড়াও পেয়ারা পাতা মিহি করে যদি চুলে লাগানো হয় চুলের ঘনত্ব বাড়ায় চুল কালো
রাখে চুলের খুশকি দূর করতে সাহায্য করে।যাদের দাঁতের ব্যথা রয়েছে বা তাদের রক্ত
পড়ে তাদের জন্য পেয়ারা পাতা চিবিয়ে খেলে এ রোগ থেকে নিরাময় পাওয়া
যায়।পেয়ারা পাতা খেলে শরীরের বাজে ক্লোস্টেরল দূর করে এবং রক্ত চলাচলের সুবিধা
করে দেয়।
তাছাড়াও পেয়ারার পাতা আমাদের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী একটি উপাদান যদি এটি মিহি
করে প্রতিদিন নিয়মিত ব্যবহার করা হয় তাহলে উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য
করবে।রাতের বেলা নিয়মিত পেয়ারা পাতা মিহি করে ফুটে তার পানি খেলে শরীরে শক্তি
যোগাতে সাহায্য করে এবং সারাদিনের ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে।আমরা যে নিয়মিত
কোন সমস্যার কারণে ঔষধ খেয়ে থাকি যদি এই পেয়ারা পাতার ব্যবহার যদি আমরা নিয়মিত
করতে পারি ওষুধ হিসাবে খুবই উপকারে আসবে।
রাতে পেঁয়ারা খেলে কি হয় জানুন
আমরা অনেকেই পেয়ারা খেতে পছন্দ করি তবে এর অনেক উপকারিতা রয়েছে যা আমার যা
আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী উপাদান।আপনারা কি জানেন রাতে শোয়ার আগে যদি
পেয়ারা খাওয়া হয় বা কাঁচা পেয়ারা যদি খাওয়া হয় তাহলে শরীরের জন্য কতটা
উপকারী।তো চলুন আজকে জেনে নেওয়া যাক রাতে পেয়ারা খেলে শরীরের জন্য কতটুকু
উপকারে আসতে পারে।
যদি কোন ব্যক্তি রাতে
শোয়ার আগে কাঁচা পেয়ারা খেয়ে থাকে
শরীরে থাকা বাজে ক্লোরস্টোরেল দূর করতে সাহায্য করে।এছাড়াও হজম শক্তিতে খুবই
উপকারী।ক্ষুধা নিরাময় হিসেবে পেয়ারা খেলে পেট ভরে থাকে।এই পেয়ারা ফলের মধ্যে
রয়েছে ফাইবার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন সি ভিটামিন এ যার শরীরকে বিভিন্ন রোগ
জীবাণু দূর করতে সাহায্য করে।
এছাড়াও যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য এ ফল খুবই উপকারী। তবে
পেয়ারা খাওয়ার নিয়ম জানা উচিত যে কতটুক এই ফল খাওয়া উচিত।সাধারণত রাতের
বেলায় পেয়ারা খেলে শরীরের রক্তস্বল্পতা দূর করে স্মৃতিশক্তি ভালো রাখে চোখের
রেটিনা বাড়াতে সাহায্য করে।তাছাড়াও এই ফল বাংলাদেশ সব জায়গায় চাষ করা হচ্ছে
এতে মানুষের ঘাটতি পূরণে খুবই সহায়তা করছে।
সারাদিন কাজ করার পর আমাদের শরীর অনেক ক্লান্তি ও দুর্বল হয়ে পড়ে এই দুর্বলতা
এড়াতে রাতের বেলা শোয়ার আগে দুই একটা ফল খাওয়া হয় তাহলে এই দুর্বলতা এড়াতে
সাহায্য করবে। গবেষণায় দেখা গেছে যে যদি কেউ কোন সমস্যায় ভুগে থাকেন নিয়মিত এই
ফল খেলে অবশ্যই যে কোন রোগে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে।
কারণ এতে থাকা ফাইভার এন্টিঅক্সিডেন্ট ফসফরাস ভিটামিন সি ভিটামিন এ রয়েছে।আমরা
যদি প্রতিদিন আমাদের খাবার তালিকা হিসেবে এই পেয়ারা ফল রাখা হয় তাহলে আমাদের
জন্য খুবই ভালো।যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যর রোগ রয়েছে বা ত্বকের সমস্যা রয়েছে তাদের
জন্য এই পেয়ারা ফল খুবই উপকারী একটি উপাদান।এতে থাকা ফাইবার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
শরীরে থাকা রোগ জীবাণুকে ধ্বংস করে সঠিক কার্যক্ষমতা কাজে লাগিয়ে শক্তি যোগাতে
সাহায্য করে।
পেঁয়ারা খাওয়ার অপকারিতা জেনে নিন
আমাদের বাংলাদেশ পেয়ারা সব জায়গায় সারা বছর পাওয়া যায়।এছাড়াও এই পেয়ারা
খেতে খুবই সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর একটা ফল।আমরা সাধারণত অনেকেই পেয়ারা খেতে
পছন্দ করি।আপনারা কখনো ভেবে দেখেছেন অতিরিক্ত পেয়ারা খেলে কি ক্ষতি হতে পারে বা
কি সমস্যা হতে পারে।তাহলে আজকের আলোচনা জেনে নেওয়া যাক অতিরিক্ত পেয়ারা খেলে এর
অপকারিতা কি কি রয়েছে।
যদি কোন ব্যক্তি অতিরিক্ত পেয়ারা খাই তাহলে বদহজমের সমস্যা হতে পারে কারণ রক্ত
এই ভিটামিন শোষণ করতে না পারলে হজমের সমস্যা হতে পারে।তাই অতিরিক্ত ফল খাওয়া
থেকে বিরত থাকা উচিত এতে স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো।এছাড়া অতিরিক্ত পেয়ারা
খাওয়াতে কিডনিতে পাথর জমতে পারে কারণ অতিরিক্ত পেয়ারা খেলে আমাদের দেহে সহজে
হজম করতে পারে না যার ফলে কিডনিতে পাথর জমে।
তাই এই ফল খাওয়া থেকে খুবই সতর্ক থাকা উচিত।হয়তো আপনারা ভাবতে পারেন
একদিকে খাওয়া খুবই উপকারী অপরদিকে বেশি খাওয়া খুব ক্ষতিকর।হ্যাঁ অবশ্যই এ ফল
খেতে হলে অবশ্যই নিয়ম মেনে খাওয়া উচিত এতে স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।তবে নিয়ম
মেনে খেলে শরীরে কোন সমস্যা দেখা দেয় না।অতিরিক্ত এই ফল খাওয়াতে মাথাব্যথা শুরু
হতে পারে এতে শরীরের জন্য মারাত্মক একটা ক্ষতি।
তাই আপনারা যে কোন ফল খাওয়ার আগে অবশ্যই নিয়ম মেনে খাওয়া উচিত এতে
স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো।এছাড়াও পেয়ারার পাতা অতিরিক্ত খাওয়া ঠিক নয় এতে
শরীরের রোগ দেখা দিতে পারে।যারা গর্ভবতী রয়েছেন তাদের জন্য পেয়ারা অতিরিক্ত
খাওয়া কোনভাবেই ঠিক নয়।পেয়ারাতে রয়েছে অতিরিক্ত পরিমাণে ফাইবার
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা হজমে সমস্যা করতে পারে।
আরোও পড়ুনঃ
স্বাস্থ্য ভালো রাখার খাবার বিস্তারিত জানুন
তাই এই ফল খেতে হলে অবশ্যই নিয়মমাফিক খাওয়া উচি এছাড়াও কোনো সমস্যা হলে ডক্টর
পরামর্শ অনুযায়ী খাবেন এতে স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো হবে।আশা করছি আপনারাই
তথ্যগুলো মোটামুটি ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।
পেঁয়ারা খাওয়ার নিয়ম জেনে নিন
এখন সাধারণত বাংলাদেশ সব জায়গায় সারা বছর পেয়ারা পাওয়া যায়।বর্তমানে এ ফল
পছন্দ করেন না এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল।এই ফল যদি কেটে কাঁচা মরিচ দিয়ে
চাটনি করে মসলা দিয়ে মেখে খেতে খুবই সুস্বাদু মজাদার যেন জিভে পানি চলে আসে।যদি
আপনি নিয়ম করে প্রতিদিন পেয়ারা খেতে পারেন তাহলে স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।
এছাড়া
পেঁয়ারা খেলে শরীরে ক্লোস্টারের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে।এবং শরীরের ক্লান্তি দূর করতে এ ফল খুবই উপকারী।যাদের ওজন নিয়ে সমস্যা রয়েছেন
তাদের জন্য এই পেয়ারা ফল খাওয়া খুবই উপকার হবে এতে ওজন কমাতে সাহায্য করবে।এই
ফলে রয়েছে ফাইবার এন্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরের সঠিক মাত্রা কে কাজে লাগিয়ে শক্তি
যোগাতে সাহায্য করে।
প্রতিদিন সকালে নিয়মিত একটি করে পেয়ারা খেলে হজম হতে সাহায্য করে রক্তস্বল্পতা
দূর করে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।এছাড়াও শরীরে থাকা রোগ জীবাণু গুলো ধ্বংস করে রক্ত
চলাচলে সুবিধা করে দেয়।পুষ্টিবিদরা বলেছেন একটি ভিটামিনযুক্ত খাবার পেয়ারা ফল
হিসাবে মানুষের শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি উপাদান।
যারা বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছেন যদি নিয়মিত এই ফলটি খাওয়া শুরু করেন আশা করা যায়
এই রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।যারা ডায়াবেটিস রোগী ভুগছেন তাদের জন্য পেয়ারা
ফল খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে।এছাড়াও পেয়ারা ফল একটি ভিটামিনযুক্ত
সমৃদ্ধ উপাদান।পেয়ারা ফল খাওয়ার ফলে শরীরে রূপচর্চায় ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।
আরোও পড়ুনঃ
কোন জাতের গরু পালনে লাভ বেশি
তবে নিয়ম করে খেলে শরীরে মানুষের মস্তিষ্কে বাড়াতে সাহায্য করে চোখে রেটিনা
বাড়াতে সাহায্য করে। যাদের চোখে কালো দাগ রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ফল খেলে কালো
দাগ দূর হতে সাহায্য করে।যাদের দাঁত দিয়ে রক্ত পড়ে দাঁতে ব্যথা রয়েছে যদি
পেয়ারা মিহি করে চিবিয়ে খেতে পারেন বা পেয়ারার পাতা যদি চিবিয়ে খেতে পারেন
এতে রক্ত পড়া বন্ধ হতে হয়।
আমরা প্রতিদিন বিভিন্ন সমস্যার কারণে বিভিন্ন ঔষধ খেয়ে থাকি যদি আমরা ঔষধি
হিসেবে যেকোনো ফল নিয়মিত খেতে পারি তাহলে স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো এবং যে কোন
রোগ বালাই থেকে আক্রমণ থেকে সাহায্য করে।
গর্ভাবস্থায় পেঁয়ারা খাওয়ার উপকারিতা
এই পেয়ারাতে রয়েছে ভিটামিন ছি ভিটামিন এ যা বলা যায় চারটি আপেল ও একটি কমলার
সমান ভিটামিন রয়েছে।গর্ভাবস্থায় পেয়ারা খেলে শরীরের শক্তি জোগাতে সহায়তা
করে।যদি গর্ব অবস্থায় রক্তচাপ বেশি দেখা দেয় তাদের জন্য পেয়ারা খাওয়া খুবই
উপকারী।এছাড়া গর্ভবতীদের জন্য পেয়ারা ফল খাওয়া খুবই জরুরী এতে স্বাস্থ্যের
জন্য খুবই উপকারী।
গর্ভাবস্থায় কাঁচা পেঁয়ারা খেলে শরীরে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে রক্তস্বল্পতা
কমায়।এছাড়াও শরীরে দুর্বলতা এড়াতে এর ফল খুবই উপকারী একটি উপাদান।যদি
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয়ে থাকে তাদের ক্ষেত্রে ফল খাওয়া খুবই উপকারী।যদি শরীরে
হাড়ের কোন ব্যথা হয় থাকে এরকম অনুভব হলে এ ফল খেলে এ ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া
যেতে পারে।
তবে এ ফলের চাহিদা ব্যাপক রয়েছে বর্তমান সময়ে এর চাহিদা অনেক বাজারেও দাম
সহজলভ্য।এই ফল দামেও কম খেতে অনেক সুস্বাদু বাংলাদেশে এ ধরনের ফল তাই সব জায়গায়
চাষ করে থাকে। এছাড়াও গ্রাম অঞ্চলে বা বাসা বাড়িতে এ ফলের গাছ লাগানো হয়ে
থাকে।এই ফলের মধ্যে দেশি ও বিদেশী ধরনের হাইব্রিড জাতীয় পেয়ারা রয়েছে।
যারা গর্ভবতী রয়েছেন তাদের খাদ্য তালিকা হিসেবে এই ফল খাবার তালিকায় রাখা
উচিত।এ ফল নিয়মিত খেলে শরীরে যে কোন দুর্বলতা এড়াতে সহায়তা করবে।তাছাড়া এই
ফলে রয়েছে ভিটামিন এ ভিটামিন সি ফাইবার পটাশিয়াম জাতীয় উপাদান।যাদের মাথাব্যথা
বদহজমের সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ফল খেলে এই সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
যাদের শরীরে দুর্বলতা ও পুষ্টি স্বল্পতা কম রয়েছে তাদের জন্য ফল খাওয়া খুবই
উপকারী হবে।আমাদের বাংলাদেশে তাই সব জেলায় এ ধরনের ফল চাষ করে থাকছেন এছাড়াও এই
ফল দেশের বাইরে রপ্তানি কাজে দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।গর্ব
অবস্থায় পেয়ারা খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে সাহায্য করে ওজন কমাতে সহায়তা
করে যে কোন কাজে মনোবল জোগাতে সাহায্য করে।
পেঁয়ারা পাতা দিয়ে রূপচর্চা সম্পর্কে জেনে নিন
আমরা হয়তো কম বেশি সবাই জানি পেঁয়ারা পাতার ব্যবহার সম্পর্কে।আপনারা জানেন
পেয়ারা পাতা দিয়ে কত ধরনের উপাদান তৈরি করা যায়।পেয়ারা পাতা দিয়ে রূপচর্চার
কাজে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।এতে থাকা ফাইভার এন্টিঅক্সিডেন্ট যা
রূপচর্চার কাজে এবং চুলের ব্যবহার খুবই উপকারী একটি উপাদান।
যাদের চোখের নিচে কালো দাগ রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে পেয়ারা পাতা ব্যবহার করা দরকার
এতে কালো দাগ দূর করতে সহায়তা করবে।যাদের চুল পড়া সমস্যা রয়েছে এবং খুশকি দূর
হয় না এ ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য পেয়ারা পাতার রস ব্যবহার করা
যেতে পারে।পেয়ারার পাতা মিহি করে রস তৈরি করে যদি নিয়মিত চুলে ব্যবহার করা হয়
তাহলে চুলের গোড়া থেকে মাথা পর্যন্ত ঘনত্ব ও কালো করতে সহায়তা করে।
আরোও পড়ুনঃ
ছাগল পালন পদ্ধতি এর নিয়ম
এছাড়াও খুশকি দূর করার জন্য পেয়ারা পাতার রস খুবই কার্যকর।যদি নিয়মিত পেয়ারা
পাতার রস চুলে ব্যবহার করা হয় তাহলে কয়েক মাসের মধ্যে এর ফলাফল পাওয়া
যায়।যাদের ত্বকের সমস্যা রয়েছে যেমন ব্রণ বের হয় কালো দাগ রয়েছে মেছতা এই
ধরনের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য পেয়ারা পাতার রস ব্যবহার করা উচিত।
এতে থাকা ফাইভার এন্টি অক্সিডেন্ট পটাশিয়াম এই জাতীয় রোগ দূর করতে সহায়তা
করে।এই পাতার রস ব্যবহারের ফলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়য় ত্বকের মলিনতা বাড়াতে
সহায়তা করে।এছাড়াও বয়সের ছাপ দূর করতে এই পেয়ারা পাতার রস ব্যবহার করুন।এই
পাতার রস ব্যবহারে শরীরের চামড়া চকচকে থাকে এবং তরুণী বয়স ধরে রাখতে সাহায্য
করে।
বর্তমান সময়ে অনেকেই এ
পেঁয়ারা পাতা দিয়ে রূপচর্চার কাজে ব্যবহার
করে থাকছেন।এতে অনেকেই বিভিন্ন কাজে ব্যবহারে সফলতা পেয়েছেন।পেয়ারা পাতার রসের
ব্যবহার যেমন এক চামচ লেবুর রস তার সাথে পেয়ারা পাতা মিহি করে দুইটি মিশ্রণ করে
৩০ মিনিট ত্বকে লাগিয়ে রাখুন।এরপর শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন
এরপর দেখবেন ত্বকের তৈলাক্ত দূর করতে সহায়তা করবে এবং ত্বকের উজ্জলতা বাড়াতে
সাহায্য করবে।
পেঁয়ারা চাষ করার পদ্ধতি জেনে নিন
আমাদের বাংলাদেশে প্রায় সব জেলায় দেখা যায় এই পেয়ারা চাষ করার পদ্ধতি।তবে
অনেকেই পেয়ারা চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে হয়তো কম বেশি জানি।বাংলাদেশের প্রায় সব
জায়গায় দোআঁশ মাটিতে চাষ করা হয়ে থাকে।তবে কিভাবে পেয়ারা চাষ করলে এ
ব্যবসায়ী সফল হওয়া যায়।আগে আপনাকে নির্বাচন করতে হবে আপনি কি করতে চাচ্ছেন
কিসের উপর এ ব্যবসা করতে যাচ্ছেন।
যেমন ফলের বাগান বা চারা রোপণ বা ফলের উপর।এরপর যদি আপনার লক্ষ্য ঠিক থাকে তাহলে
আপনি এ পেয়ারা চাষ পদ্ধতি করার জন্য এগিয়ে যান।পেঁয়ারা চাষ করার জন্য অবশ্যই
দোআঁশ মাটি প্রয়োজন।এরপর ভালোভাবে মাটি চাষ করে আলগা করে ঝরঝরে করে রাখতে
হবে।এরপর যা করবেন পেয়ারা চারা রোপণ করার সময় চারিদিক সমান করে রোপন করা উচিত।
এবং
প্রতিটি চারা ৫০ থেকে ৬০ সেন্টিমিটার দূরত্ব রাখতে হবে
এরপর গভীরতা থাকবে চার থেকে পাঁচ সেন্টিমিটার।প্রতিদিন বাগানে খেয়াল রাখতে হবে
যেন কোন পোকার আক্রমন না ঘটে।এরপর আপনি জমিতে পানি দেওয়ার ব্যবস্থা করুন এবং
নিয়মিত খেয়াল রাখুন যে মাটি হালকা ভিজা আছে কিনা।পেয়ারা চাষে এ ধরনের মাটিতে
পেয়ারা চাষ ভালো হয় এবং বেশি পরিমাণে চাষ করে লাভবান হওয়া যায়।
প্রতিটি পেঁয়ারা গাছে চারা রোপনে গাছের গোড়ায় ময়লা আবর্জনা নিড়ানি দিয়ে দূর
করুন।কারণ গাছের গোড়ায় ময়লা আবর্জনার জমার কারণে বেড়ে উঠতে ব্যাঘাত ঘটায়।এই
পেয়ারা চাষে দেশে এবং বাহিরে দেশে রপ্তানি কাজে দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
পালন করছে।এছাড়াও অর্থনৈতিক খাতে এ জাতীয় ফল বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ সুনাম অর্জন
করছে।
পেয়ারা চাষ পদ্ধতিতে অবশ্যই নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা উচিত।এতে করে বাগানের
পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে সঠিক ফলাফল পাওয়া যেতে পারে।এছাড়াও এদের বড় করার জন্য
সার ফসফেট গোবর ছাই গোবর জৈব সার হিসেবে ব্যবহার করলে অতি তাড়াতাড়ি গাছ বেড়ে
উঠতে সাহায্য করবে।এরপর ফল বড় হওয়ার পর কচি ডালগুলো কেটে ছাটাই করতে হবে।
আরোও পড়ুনঃ
রাতে কালোজিরা খেলে কি হয় জানুন
পেঁয়ারা চাষ ভালো হয় খড়া মৌসুমে,যদি একটু মাটি ভিজে থাকে তাহলে এদের সহজে চাষ
করা সম্ভব।বর্তমানে বাংলাদেশে এ ধরনের পেয়ারা চাষ অনেকেই করছেন এতে অনেকে সফলতা
অর্জন করছেন।বর্তমান সময়ে এই ব্যবসা করে অনেকে জীবিকা নির্বাহ হিসেবে কাজ করছেন
এতে দেশের মানুষের ভিটামিনযুক্ত ফল হিসেবে অত্যন্ত ভূমিকা লাভ করছে।
টবে পেঁয়ারা চাষ পদ্ধতি নিয়ম জেনে নিন
আমরা বর্তমানে প্রায় সবাই তবে পেঁয়ারা চাষ করতে খুবই পছন্দ।তবে জানা উচিত আগে
টবে কিভাবে পেয়ারা চাষ করা উচিত।এরপর কোন জাতের পেয়ারা চাষ করলে ভালো ফলন
পাওয়া যায়।এছাড়াও কোন পদ্ধতি ব্যবহার করলে টবে পেয়ারা চাষ ভালো করা
যায়।প্রথমে ভালো মানের একটি টব তৈরি করার জন্য একটি ড্রাম প্রয়োজন এবং
ড্রাম হতে হবে 15 থেকে 20 ইঞ্চি লম্বা এতে চাষ করা অনেক সুবিধা।
এরপর বেলে দোআঁশ মাটির প্রয়োজন এরপর গোবর ছাই টিএসপি সার পটাশিয়াম এগুলো সব
মিশ্রণ করে পানি দিয়ে 10 থেকে 15 দিন ভিজিয়ে রাখতে হবে।এরপর চারা রোপনের সময়
খেয়াল রাখতে হবে বেশি ভিজা মাটিতে চারা রোপন করলে গাছ মারা যায়।লক্ষ্য রাখতে
হবে যেন বেশি ভিজা না থাকে এবং চারা রোপন করার পরে পানি নিয়মমাফিক দিতে হবে।
নিয়মিত চারাগুলো পর্যবেক্ষণ করা উচিত লক্ষ্য রাখা উচিত যেন কোনো পোকামাকড়ের
আক্রমণ না ঘটে।যদি কখনো পোকামাকড়ের উদ্রব দেখা দেয় তাহলে পটাশিয়াম ফসফেট গাছের
গোড়ায় দিয়ে রাখতে হবে এবং স্প্রে হিসেবে কীটনাশক ব্যবহার করা উচিত।বর্তমানে
অনেকেই চেয়ে থাকি যে বাসা বাড়িতে কিভাবে টবে পেয়ারা চাষ করা যায়।
আরোও পড়ুনঃ
গরম পানিতে লেবু খাওয়ার অপকারিতা
এখন বর্তমানে বাংলাদেশে অনেকেই বাসা বাড়িতে পেয়ারা চাষ টবের মাধ্যমে করছেন।টবের
মাধ্যমে চাষ করে অনেকেই সফলতা লাভ করছেন।আপনারা যদি কেউ টবে পেয়ারা চাষ করার
আগ্রহ থাকে তাহলে এই পদ্ধতি গুলো বা নিয়ম মেনে চললে ভবিষ্যতে কাজে লাগতে পারে।
যদি তথ্যগুলো পড়ে ভালো লেগে থাকে যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই সবার কাছে
শেয়ার করুন এতে অন্যদের উপকারে আসতে পারে।
লেখকের মন্তব্য
আমরা আলোচনা করেছিলাম যে পেঁয়ারা খাওয়ার অপকারিতা উপকারিতা এবং পেয়ারা চাষ
পদ্ধতি কিভাবে করতে হয়।এরপর গর্ব অবস্থায় পেয়ারা খেলে কি উপকার পাওয়া যায়
সকল বিস্তারিত আলোচনা করেছি।আপনারা যদি এই তথ্যগুলো থেকে উপকৃত হয়ে থাকেন বা
নতুন কিছু জেনে থাকেন তাহলে সকলের কাছে শেয়ার করুন।
আমরা প্রতিনিয়ত এ ধরনের নতুন নতুন তথ্য আমাদের ওয়েবসাইটে পাবলিশ করে
থাকি।আপনারা যদি কেউ পেঁয়ারা চাষ করার আগ্রহ থাকে তাহলে এ তথ্যগুলো আবার পড়ুুন
এতে আপনার ভবিষ্যতে কাজে আসতে পারে।আমরা প্রতিদিন আমাদের ওয়েবসাইটে এ ধরনের তথ্য
প্রকাশ করে থাকি এবং প্রতিনিয়ত নতুন নতুন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন।
আমরা নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটে এই ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি এই তথ্যগুলো
জানতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।এ বিষয়ে যদি আপনাদের কোন মতামত থাকে
বা কোন ভুল হয়ে থাকে তাহলে আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন।
রিয়েল লাইফ সফট আইটিতে নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url